স্বদেশ ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মধ্যবর্তী নির্বাচন। এই নির্বাচনের ফলাফলের মাধ্যমে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পাশাপাশি সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎও নির্ভর করছে।
সাম্প্রতিক কালে অন্যসব পরাজিত প্রেসিডেন্ট রাজনীতি ছেড়ে দিয়েছেন। কিন্তু ট্রাম্প তেমনটা করেননি। তিনি ইতোমধ্যে ইঙ্গিত দিয়েছেন আগামী নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে তিনি লড়বেন। তাই এই মধ্যমেয়াদী নির্বাচন ট্রাম্পের হাতকে হয় শক্তিশালী করবে বা তার সব আশা গুঁড়িয়ে দিতে পারে।
নির্বাচনে এরা জয়লাভ করলে এটা প্রমাণিত হবে যে তার রাজনৈতিক সহজাত প্রবৃত্তি বেশ সুতীক্ষ্ণ এবং জাতীয় পর্যায়ে তার তৈরি রক্ষণশীল রাজনীতির ব্র্যান্ডের একটা আবেদন রয়েছে। কিন্তু যদি কংগ্রেসে রিপাবলিকানদের সংখ্যা কমে যায় – এবং যদি এটি ঘটে মি. ট্রাম্পের হাতে গড়া প্রার্থীদের ব্যর্থতার কারণে – তাহলে সব দোষ গিয়ে পড়বে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘাড়ে।
এই ধরনের ফলাফল দলের মধ্যে মি. ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীদের মনে আশা বাড়িয়ে তুলবে। ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্টিস এবং টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট – দু’জনেই নভেম্বরে পুন:নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত, এবং ২০২৪ সালে রিপাবলিকান মনোনয়ন জয়ের জন্য তাদের নিজস্ব প্রচারণায় তারা এই ফলাফলকে একটা স্প্রিংবোর্ড হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন।
এদিকে অধিকাংশ জরিপ বলছে, কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ রিপাবলিকানরা ফিরে পাচ্ছে। তবে এখনো অনিশ্চিত ঠিক কত আসনের ব্যবধানে রিপাবলিকানরা জয়ী হবে।
অন্যদিকে সিনেটের ফলাফল এখনো অনিশ্চিত। সিনেটের নিয়ন্ত্রণ নির্ভর করছে পেনসিলভানিয়া ও জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের সিনেট নির্বাচনের ফলাফলের ওপর।